হাবরুল উম্মাহ মডেল মাদরাসায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মাসিক পরীক্ষা, ত্রৈমাসিক পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা এবং বোর্ড পরীক্ষা। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা মূল্যায়ন পদ্ধতি রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে। প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের বোঝার ক্ষমতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা যাচাই করা হয়। এছাড়াও, ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে একটি বিশেষ কমিটি ফলাফল পর্যালোচনা করে। এই কমিটিতে শিক্ষক, পরীক্ষা কমিটির সদস্য এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্র দেখতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস পরীক্ষার সুযোগ পায়।
পরীক্ষার সময়সূচি আগে থেকে ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। পরীক্ষার হলে নকল করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এর জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র জমা দিতে হবে এবং পরীক্ষার হলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ এবং পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ করা যাবে না। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হয়।
পরীক্ষার সময় বিশেষ ধরনের অসুস্থতা বা জরুরি পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং বিশেষ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের ফলাফল দেখতে পারে। ফলাফল কার্ড অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। ফলাফল নিয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং আপিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কাউন্সেলিং এবং অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত সাক্ষাত করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরীক্ষা সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়।