প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা

শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মাবলী ও দায়িত্ব

হাবরুল উম্মাহ মডেল মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইউনিফর্ম পরিধান করে আসতে হবে। প্রতিদিনের নামায জামাতে আদায় করতে হবে এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি রক্ষা করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা প্রতিটি শিক্ষার্থীর দায়িত্ব।

শিক্ষার্থীদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি বিশেষ কমিটি রয়েছে। এই কমিটি নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও চারিত্রিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

অভিভাবকদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে হবে এবং শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সভা ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অভিভাবকদের জন্য বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীর আচরণের দায়িত্ব অভিভাবকদের নিতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে হবে।

অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি মাসে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।

অভিভাবকদের মতামত ও পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য অভিভাবকদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য একটি বিশেষ কমিটি রয়েছে। এই কমিটি নিয়মিতভাবে অভিভাবকদের সাথে সাক্ষাত করে এবং তাদের পরামর্শ মূল্যায়ন করে।

শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা ও শাস্তি প্রক্রিয়া

প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক শাস্তি ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমবার নিয়ম ভঙ্গ করলে সতর্কতা, দ্বিতীয়বারে জরিমানা এবং তৃতীয়বারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

শাস্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালিত হয়। শাস্তি প্রদানের আগে শিক্ষার্থীকে তার অপরাধের কারণ ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও, শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিভাবকের সাথে আলোচনা করা হয়।

চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি বিশেষ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই কমিটিতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয় এবং আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়।